আজ || শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম :
 


উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ

ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তীরাথ সিং রাওয়াত। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার চার মাসের মধ্যেই শুক্রবার (২ জুলাই) রাতে ওই পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।

আর এতে করে অনেকটা অস্বস্তিতে পড়তে পারেন দেশটির পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ মমতাকে নৈতিকতার প্রশ্নে অস্বস্তিতে ফেলতেই বিজেপি নেতৃত্ব তীরাথকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রশ্ন উঠতে পারে- উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সদ্য পদত্যাগ করা তীরাথ সিং রাওয়াতের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগসূত্র কোথায়? তীরাথ এবং মমতা— দু’জনে উত্তরাখণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হলেও বিধানসভা ভোটে জিতে আসেননি। চলতি বছরের মার্চে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে লোকসভার সাংসদ ছিলেন তীরাথ। আর রাজ্যে দলকে জিতিয়েও মমতা নিজে নন্দীগ্রামে হেরেছেন শুভেন্দু অধিকারীর কাছে।

ভারতীয় সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী, বিধানসভায় জিতে না-এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হলে, উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে ছয় মাসের মধ্যে। কিন্তু চলমান ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে’ ভারতে এই মুহূর্তে কোনো নির্বাচন বা উপনির্বাচন আয়োজনে দ্বিধাগ্রস্ত দেশটির নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সুযোগে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে তীরাথকে সরিয়ে পরোক্ষভাবে মমতার উদ্দেশ্যে বার্তা দিতে চাইছে বিজেপি।

পদত্যাগের পর তীরাথ বলেছেন, ‘করোনার কারণে এখন উপনির্বাচন সম্ভব নয়। সাংবিধানিক সংকট হতে পারে, সে কথা মাথায় রেখে ‘নৈতিক কারণে’ পদত্যাগ করেছি।’

পশ্চিমবঙ্গের এক বিজেপি নেতার দাবি, ‘নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর মুখ্যমন্ত্রী হওয়াই উচিত নয়। কিন্তু মমতা হয়েছেন। যেহেতু উত্তরাখণ্ডে এখন নির্বাচন আযোজন করা কঠিন, তাই আদর্শের কথা মাথায় রেখে দল তীর্থকে সরিয়ে অন্য কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করার কথা ভাবছে। তেমনই মমতারও উচিত নৈতিকতার কারণে আপাতত সরে যাওয়া।’

অবশ্য তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের বক্তব্য, ‘দুই রাজ্যের পরিস্থিতির তুলনাই চলে না। উত্তরাখণ্ডে আগামী বছরের শুরুতেই ভোট। তাই এত কম সময়ের জন্য এই করোনা আবহে উপনির্বাচন করায় অনীহা থাকতে পারে। কিন্তু মে মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। তাই সেখানে উপনির্বাচন না-করার যুক্তি নেই।’


Top